বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড.তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম বলেছেন, আধুনিক প্রযুক্তির মধ্যে এসএমআর (স্মল মডিউলার রিয়েক্টর) ব্যবহার করে দেশে কিভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেতে পারে, তা নিয়ে আরও অনুসন্ধান ও গবেষণা করা প্রয়োজন। দেশিও উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান বের করার ওপরে তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল (বিইপিআরসি)’র উদ্যোগে এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিইপিআরসির কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক অ্যাডভান্স রিসার্চ ইনিস্টিটিটের পরিচালক ড. সাইফুর রহমান। তিনি গ্লোবাল ওয়ার্মিং বনাম জলবায়ু পরিবর্তন, গ্লোবাল এনার্জি কনজাম্পশন, জ্বালানি দহন থেকে কার্বন নির্গমন, ছয়টি গ্রিনহাউস গ্যাস ও এদের প্রভাব, ক্লাইমেট ফান্ড, ফুয়েল মিক্স, হাইড্রোজেন জ্বালানি, জীবাস্ম জ্বালানি, কপ-২৬ ইত্যাদি আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, ‘একটি নিম্ন-কার্বন অর্থনীতির জন্য বাংলাদেশ চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করতে জ্বালানির দক্ষ ব্যবহার বৃদ্ধি, পরিবহন জন্য হাইড্রোজেন ব্যবহার, কার্বন সিকোয়েস্ট্রেশন এবং স্টোরেজ (সিএসএস), নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি, ছোট মডিউলার চুল্লি অন্বেষণ (পারমাণবিক) করে কার্বন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।’
সেমিনারে বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রধানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে বিভিন্ন দেশের মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ কমাতে গৃহীত পদক্ষেপগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। কার্বন নিঃসরণ কমানোর (ডিকার্বোনাইজেশন) লক্ষ্যে বাংলাদেশের সম্ভাব্য করণীয় নিয়ে অনুষ্ঠানে বক্তারা মতামত ব্যক্ত করেন। আলোচনায় প্রাপ্ত মতামত বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
বিইপিআরসির চেয়ারম্যান (সচিব) সত্যজিত কর্মকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন— বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান ও বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান।